একটা কমন ধারণা আছে আমাদের মাঝে যে, বিজনেস বলতেই স্টার্টআপ আবার ছোট ব্যবসা  বলতেই স্মল ব্যবসা। তবুও এটা একটি ভ্রান্ত ধারণা, সব বিজনেসই স্টার্টআপ নয় আবার সব ছোট বিজনেসই স্মল বিজনেস নয়। 

আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করবো স্টার্টআপ তার সাথে স্মল বিজনেসের হেতু পার্থক্যগুলো নিয়ে, যেন  আপনি অতিশয় সহজেই বিজনেসের ধরণ দেখে আইডেন্টিফাই করতে পারেন কোনটি স্টার্টআপ আর কোনটা স্মল ব্যবসা।

স্টার্টআপ তার সাথে স্মল ব্যবসার পার্থক্য

স্টার্টআপ: স্টার্টআপ রান হয় গ্রোথ ফোকাস, বিশেষ করে শুরুর ১ম কয়েক বছর লভ্যাংশ এর দিকে না তাকিয়ে গ্রোথ এর দিকে বহু নজর দেয়া হয়। এজন্য বেশির ভাগ স্টার্টআপই সালের পর বছর প্রফিট না করেই মার্কেট শেয়ার দখলের টার্গেট নিয়ে কাজ করে যায়।

স্মল বিজনেস: স্মল বিজনেস যাত্রার ১ম থেকেই কাজ করে লভ্যাংশ লক্ষ্য করে। এরা মার্কেট শেয়ারের দিকে অতটা মর্যাদা দেয়না যতটা গুরুত্ব দেয় প্রফিট মেকিং এর দিকে। 

স্টার্টআপ: স্টার্টআপ এর অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো ইনোভেশন। অধিকাংশ স্টার্টআপ রান হয় নিউ কয়েকটি ইনোভেশন তার সাথে অদ্বিতীয় কয়েকটি করার মাধ্যমে।

স্মল বিজনেস:

স্মল বিজনেসে ইনোভেশন টাইপ কতিপয় হয়না, এরা কাজ করে সবাই যা করছে তাই প্রচলিত নিয়মে। কিন্তু কয়েকটি কিছু ক্ষেত্রে ইনোভেশনের বদলে মডিফিকেশন ভার্সন নিয়ে কাজ করে স্মল বিজনেস।

স্টার্টআপ:

স্টার্টআপ এর কোন লিমিটেশন থাকে না, এরা দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে অবিরাম বিশ্বে  ব্যবসা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য পারে যার ফলে স্টার্টআপ এর সাহায্যে সৃষ্টি হয় পৃথিবীর সব জ্যেষ্ঠ জ্যেষ্ঠ কোম্পানী।

স্মল ব্যবসা: স্মল বিজনেসের একটা লিমিটেশন থাকে চাইলেও ওই নিদির্ষ্ট লিমিটেশনের বাইরে তাঁদের বিজনেসের বিস্তার ঘটাতে পারে না, যার ফলে এরা সব সময়ই ছোট ব্যবসা হিসেবেই থেকে যায়। 

স্টার্টআপ:

স্টার্টআপ কাজ করে বড়সড় আকারে যার ফলে তাঁদের পর্যাপ্ত ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন হয় একারণে অর্ধেকের বেশি স্টার্টআপ ইনভেস্টর নিয়ে থাকে।

স্মল বিজনেস:

এরা কাজ করে ছোট খাট আকারে এইজন্য ইনভেস্টর এর প্রয়োজন হয়না তেমন, ব্যাক্তিমালিকানাধীন ব্যক্তিগত ইনেভেস্টে ব্যবসা রান করে এরা।

স্টার্টআপ:

স্টার্টআপে নিউ নিউ সব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন টেকনোলজির ইনোভেশন ও হয়ে থাকে।

স্মল বিজনেস:

সব স্মল বিজনেসের প্রযুক্তির প্রয়োজন হয়না, বিজনেসের ধরণভেদে যাদের প্রয়োজন হয় মার্কেটে এক্সজেটিং টেকনোলজি মাধ্যমেই কাজ চালিয়ে নেয়।

স্টার্টআপ:

ম্যানেজ হয় এক্সপার্ট দ্বারা তার সাথে কাজের ক্ষেত্র ভেদে আলাদা আলাদা ব্যক্তি থাকে যার কারণে স্টার্টআপ এ সহযোগী পরিমান অধিক হয়।

স্মল বিজনেস:

রান হয় অল্প লোকজনের দ্বারা তার সাথে সেইম সহযোগী একের অধিক কাজে মাল্টিটাসকিং করে থাকে।

স্টার্টআপ:

ওঁদের ব্যবসার গ্রোথ এর জন্য নিউ নিউ স্ট্রেটেজি প্রস্তুত করে আলাদা ওয়েতে আগায়।

স্মল বিজনেস:

বাজারে অলরেডি যে কমন স্ট্রেটেজি রয়েছে তা প্রয়োগ করেই  ব্যবসা পরিচালণা করে।

স্টার্টআপ:

৯২% স্টার্টআপ প্রথম ৩ বর্ষের ভিতরে তাঁদের ব্যবসা বন্ধ করে দেয়, এজন্য স্টার্টআপে ফেইল হবার সম্ভবনা বেশি।

স্মল বিজনেস:

৩২% স্মল বিজনেস প্রথম ৩ সালের ভিতরে ওঁদের ব্যবসা ক্লোজ করে দেয়, এজন্য স্টার্টআপের তুলনায় স্মল বিজনেস এর অসফল হবার সম্ভবনা অনেকটাই কম।

কিভাবে ভালো ব্রান্ডেবল ডোমেইন নেম সিলেক্ট করবেন?