ফেসবুক এড ক্যাম্পেইন চালু করার ক্ষেত্রে কি কি বিষয় লক্ষণীয়? আপনি জানলে অবাক হবেন আজকাল বাংলাদেশে ফেসবুক ইউজারের সংখ্যা ৬ কোটি ৭২ লক্ষ ৪৫ হাজার। এমন কেউ নেই যে তিনি জানেন না ফেসবুক কি? যা বাংলাদেশের সর্বমোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশের বেশি। গড়ে প্রায় ২.৪১ শতাংশের অধিক মানুষ সামাজিক মিডিয়ার নানারকম প্ল্যাটফর্ম উদাহরণসরূপ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে।

আর এ সুযোগ টা কে কাজে লাগিয়েই বুদ্ধিমান মানুষেরা অনলাইন কেন্দ্রিক ব্যবসা বিল্ড করছে। অনেকেই ফেসবুক পেইজ পক্ষান্তরে গ্রুপের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা চালায়। এর মাঝে আবার অনেকেই আছে যারা ফেসবুক পেজ কেমনে চালাতে হয় তা ঠিক ভাবে বোঝেনা।তাদের অবশ্যই তা শিখে নিতে হবে।

তবে বিজনেসের প্রসারতা, ব্র‍্যান্ডিং, রিচ, পাবলিসিটি  অথবা সেল যা-ই বাড়াতে চান না কেনো ফেসবুক এড ক্যাম্পেইন আপনাকে চালু করতেই হবে। এইজন্য ফেসবুক এড ক্যাম্পেইন চালু করতে গেলে কি কি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে তা জেনে নেওয়া যাক।

রেস্পন্সিভ এড তৈরি করুনঃ

আপনার বিজনেস এর জন্য এমন এড প্রস্তুত করা উচিত যা কাস্টমার কে প্রতিক্রিয়াশীল করে তুলে। এড ক্যাম্পেইন শুরু করার সময় মাথাত রাখতে হবে এড টি যেনো অনেক বড় না হয়। বিশাল ভিডিও কন্টেন্ট কেও দেখতে চায়না। এজন্য আপনার উচিত হবে,  এড ছোট করে তৈরি করা এবং এটি ও মাথায় রাখতে হবে সেখানে যেনো আপনার বিজনেস এর  সকল বিষয় বিবরণ থাকে। আপনার ব্যবসা এর কোনো প্রডাক্টের উপর কমিশন দিতে চাইলে তা চমৎকার করে উপস্থাপন করুন যাতে কাস্টমার মুগ্ধ হয়। একটা বেশ ভালো এড সৃষ্টি করার দ্বারা সহজেই একজন কাস্টমার কে রেস্পন্সিভ করা যায়।

এড ক্যাম্পেইন লোকেশন নির্ধারণঃ

ফেসবুক ক্যাম্পেইন টি লোকেশন নির্ধারণ এর দ্বারা ভিন্ন ভিন্ন যায়গায় প্রদর্শন হয়। আপনার অবজেক্টিভ সিলেকশন এর মাধ্যমে একটি এড সর্বোচ্চ ১২ জায়গায় প্রদর্শন করা হয়। এইখানে লোকেশন টি থেকে পরে ফেসবুকের নিউজ ফিড, ম্যাসেন্জার অথবা ডান সাইডের কলাম ইত্যাদি। ফেসবুকের এড এর লোকেশন আলাদা হওয়ার কারনে এড এর টাইপ ও আলাদা হয়ে থাকে। আপনি চাইলে আপনার বিজনেস এর এড টি ফেসবুকের পাশাপাশি ইন্সটাগ্রাম অথবা হোয়াটসঅ্যাপ এ-ও রান করাতে পারেন কারণ ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পরিমান দিন দিন বাড়ছে। আপনাকে আগে বুঝতে হবে আপনার টার্গেটেড কাস্টমার  কোথায় বেশি এক্টিভ। আপনার এড এর লোকেশন টি সেখানে হলে আপনার কাস্টমার পেতে সুবিধা হবে।

সঠিক ভাবে বয়স নির্ধারণঃ

আপনার এড টি যাদের জন্য তৈরি করা হলো তাদের নিকট পৌঁছে দিতে আপনার সঠিক ভাবে বয়স টা সিলেক্ট করে দিতে হবে। এতে ঠিক যেই কাস্টমার এর কাছে আপনি এড টা পৌঁছাতে চাচ্ছেন তার কাছেই পৌঁছে যাবে। পেপার পত্রিকায় যখন অ্যাডভারটাইজমেন্ট দেওয়া হতো সেই সময় সেটা সবার নিকট পৌঁছাতো না। কি জন্য বলছি এই কথা? চলুন দৃষ্টান্ত এর মাধ্যমে ক্লেয়ার করি। মনে করুন আপনার একটি বুটিক শপ আছে। তাহলে আপনার টার্গেট কাস্টমার হলো মেয়েরা এবং যাদের বয়স ১৮-৩০ এর ভেতরে। এখন ভাবুন কয়জন ভদ্র মহিলা বিদ্যমান যারা পত্রিকা পড়ে? জবাব ” হাতে গোনা কয়েকজন “। 

তাহলে আপনি কি হাতে গোনা কয়েকজনের কাছে আপনার বিজনেস এর অ্যাডভারটাইজমেন্ট পৌঁছাতে চান? অবশ্যই না। সম্প্রতি ফেসবুক স্ক্রল করলেই ভাইরাল নিউজসহ সকল সংবাদ চোখে পড়ে একারণে কেও আর ১০ টাকা খরচা করে পত্রিকা পড়তে যায় না। তাহলে আপনি আপনার ব্যবসা এর জন্য এড ক্যাম্পেইন এই বয়স সিলেক্ট করে দিবেন, জেন্ডার সিলেক্ট করার এবং অবজেক্টিভ রয়েছে। এতে করে যে সব মেয়েরা বুটিকের ড্রেস পছন্দ করে ঠিক তাদের কাছেই আপনার বিজ্ঞাপন টি Facebook Ads Campaign এর দ্বারা পৌঁছে যাবে। এজন্য ফেসবুক এড ক্যাম্পেইন আরম্ভ করার ক্ষেত্রে নির্ভুল ভাবে বয়স সিলেক্ট করে দেওয়া টা জরুরি।

ক্যাম্পেইন সময় নির্ধারণঃ

এই বিষয়টির প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সপ্তাহের কখন, কোন দিনে, কোন টাইম ফেসবুক এড্স টি রান করলে সবার নিকট পৌঁছাতে পারে আপনার সে দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত। উদাহরণসরূপ ইভ্যালি তে প্রতি মাসে ৪ বার অর্থাৎ মাসের প্রতিটি শুক্রবারে টেক রিলেটেড প্রোডাক্ট এর ওপর তুফান অফার দেওয়া হয়। তাদের টার্গেট যেহেতু কর্মজীবী নারী-পুরুষেরা এইজন্য মাক্সিমাম কর্মজীবীরা শুক্রবারে রাতে ফ্রি থাকে। তাই তারা ঠিক তখনই তাদের ঝড় অফার টি লঞ্চ করে। এভাবে আপনার ব্যবসা এর Facebook Ads Campaign টি তে ও টাইম সিলেক্ট করে দেওয়া উচিত। এই বিষয়ে লক্ষণীয় যে আপনার টার্গেটেড কাস্টমাররা কখন, কোন সময়ে ফ্রি থাকে।

বাজেট অপ্টিমাইজড করাঃ

আপনি যদি ভেবে থাকেন বাজেট বাড়ালেই আপনার বিজনেসে রাতারাতি সফলতা পেয়ে যাবেন এমনটা নয়। ফেসবুক  অফিশিয়াল বিজ্ঞাপন দাতাদের কে সর্বোচ্চ বিড এ বাজেট অপ্টিমাইজেশন এ সর্বদা নিরুৎসাহিত করে থাকে। ধরুন সেম ক্যাটাগরিতে আপনি এবং অন্য আরেকজন অনলাইন বিজনেস ম্যান ফেসবুক ক্যাম্পেইন দিলেন। এখন তার বাজেট যদি হয় বেশি হয় আর আপনার বাজেট যদি কম হয় তাহলে তার এড টা-ই ফেসবুক বেশি শো করবে।

পরিশেষেঃ

উপরিউক্ত বিষয় মাথায় রেখে আপনাকে একটি ফেসবুক এড ক্যাম্পেইন চালু করতে হবে। এতো কিছু মাথায় রেখে, কোন ধরনের বিজ্ঞাপন আপনার বিজনেস এর জন্য বেশি কার্যকরী হবে তা দেখার দায়িত্ব আমাদের। গাজীপুর আইটি এই সকল সেবা নিয়ে আছে আপনার পাশে। তাই আপনার বিজনেস এর জন্য ফেসবুক এড্স তৈরি করে নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে। এছাড়াও সব ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং ও ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট সেবা আমরা দিয়ে থাকি। তাই আজই যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হয়?